Tuesday, November 24th, 2015




কর্ণফুলী নদীতে টানেল হবে ৮,৪৪৬ কোটি টাকায়

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে যান চলাচল করবে। তাই টানেল নির্মাণের জন্য ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকার প্রকল্প পাস করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
প্রকল্পটি চলতি নভেম্বর মাসে শুরু হয়ে ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ হবে। এ টানেল চট্টগ্রাম শহরের বন্দর এলাকা ও আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এ প্রকল্পে চীনের এক্সিম ব্যাংক দেবে ৪ হাজার ৭৯৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আর বাংলাদেশ সরকার দেবে ৩ হাজার ৬৪৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। সেতু কর্তৃপক্ষ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
একনেকের সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প অনুমোদনের মধ্য দিয়ে দেশের আধুনিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু হয়েছে। ২০২০ সালের আগে টানেলটি নির্মাণ শেষ হলে চট্টগ্রাম একটি অন্যতম আধুনিক শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে চীন সফরকালে ওই দেশের সরকারকে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের অনুরোধ করেন এবং তাঁরই আন্তরিক প্রচেষ্টায় চীন সরকার টানেল নির্মাণে সম্মত হয়।
এ ছাড়া বাগেরহাটের মংলা, মৌলভীবাজার সদর, চট্টগ্রামের মিরসরাই ও আনোয়ারা অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের জন্য ১২২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার প্রকল্প পাস করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ২০১৬ সালের জুন মাসের মধ্যে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
এ প্রকল্পগুলোসহ গতকালের একনেক সভায় ১৬ হাজার ৯৭৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার ১২টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় দেওয়া হবে ১১ হাজার ৭২৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আর প্রকল্প সাহায্য হিসেবে পাওয়া যাবে ৫ হাজার ২৪৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
একনেক বৈঠকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো ৫২২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার এস্টাবলিশমেন্ট অব ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি, ঢাকা, প্রকল্প; ৭৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ইন্দ্রপুল থেকে চক্রশালা পর্যন্ত বাঁক সরলীকরণ প্রকল্প; ৩৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার কনস্ট্রাকশন অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং অ্যান্ড সেইলরস ব্যারাক ফর থ্রি কোস্টগার্ড স্টেশন; ৩৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার খুলনা পানি সরবরাহব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প; ৫ হাজার ৫৪৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকার তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; ১ হাজার ৩৩১ কোটি ৩০ লাখ টাকার ৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও চট্টগ্রামে একটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প; ১২২ কোটি ৯৮ লাখ টাকার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো সুবিধাদি উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; ৪৩৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকার পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা বিভাগীয় অঞ্চলের প্রি-পেমেন্ট ই-মিটার স্থাপন (১ম পর্যায়) প্রকল্প; ৪০ কোটি টাকার পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প এবং ২৬৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকার কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভ্রূণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন (৩য় পর্যায়) প্রকল্প।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category